নিজস্ব প্রতিবেদক :

সততা বজায় রেখে সাহসিকতার সহিত সাংবাদিকতায়-কক্সবাজারের রামু ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বেশ আলোচিত একটি নাম হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী। সাংবাদিকতায় মাত্র পাঁচ বছর হলেও ইতোমধ্যে এই তরুণ দুই উপজেলার সর্বমহলের আস্তা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর জন্মদিনটা অন্য রকম হবে না, তা কী করে হয়? জন্মদিনের অনুষ্ঠান বললে যে রকম জাঁকজমক, আনুষ্ঠানিকতার কথা মনে আসে, তেমন নয়। তবে ছিল নিখাদ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও প্রীতিতে উষ্ণতায় ভরা।

মঙ্গলবার (১৮জুলাই) সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর ২২তম জন্মদিন উপলক্ষে ভোর সকালে নানা বাড়িতে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও এতিম শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। কোন নিমন্ত্রণ পত্র না থাকলেও প্রাণের টানে সেখানে হাজির হন সিনিয়র সাংবাদিক, দীর্ঘদিনের বন্ধু, সহকর্মী, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা। ঘরোয়া আয়োজনের ফাঁকে উপহারের মাধ্যমে হাফিজকে শুভেচ্ছা জানান-নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক বাহাদুর।

এর পর পরিবারের সদস্য‘সহ উপস্থিত সকলের অংশ গ্রহণে কেক কেটে হাফিজের জন্মদিন উদযাপনের কর্মসূচী আরম্ভ হয়। গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইফসান খাঁন ইমন, কচ্ছপিয়া আইডিয়াল কেজি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ইদ্রিস সিকদার, আলহাজ্ব নাজের নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মুহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু, সামাজিক উদ্যোক্তা শাহারীয়ার ওয়াহেদ চৌধুরী রাসেল, ছাত্রনেতা আজিজুল হক, শহীদুল্লাহ শহীদ ও কচ্ছপিয়ার যুবলীগ নেতা সজল‘সহ অসংখ্য গুণি ব্যক্তি বর্গের উপহার ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমত ঝড় উঠে।

গর্জনিয়ায় ছাত্রলীগের আয়োজন :

সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর ২২তম জন্মদিনটা ভিন্নভাবে উদযাপন করেছে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে এ উপলক্ষে কথামালা আয়োজনের পাশাপাশি কেক কাটা হয়। এই আনন্দ ভাগাভাগি করা হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝেও। অনুষ্ঠানে অংশ নেন-গর্জনিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসাইন স্বাধীন, ইনজামাম উল হক চৌধুরী, জিয়াউর রহমান, ফরহাদুল ইসলাম সিকদার, রাজিব কান্তি নাথ, নাজিম উদ্দিন, জুনায়েদুল ইসলাম জনি, মো.সোহেল, সিবলু, আনোয়ার পাশা, আজিজ মওলা প্রমূখ।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকে বর্ণাঢ্য আয়োজন :

প্রিয় বন্ধুদের একান্ত উদ্যোগে সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর ২২তম জন্মদিনের শেষ বিকেলেও ছিল কেক কাটার আয়োজন। সবুজ আর নিলের মাঝে লেকের বুক চিরে দাঁড়িয়ে থাকা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুতে হয় ওই অনুষ্ঠান। এসময় কলেজ বন্ধুদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। প্রিয় বন্ধুরা কক্সবাজার শহর, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির দূর-দূরান্ত থেকে জন্মদিন উপলক্ষে ছুটে যান তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। তখন উপবন লেক জুড়ে-বহুদিন পর সকলেই দূরন্তপনায় মেতে উঠেন। সহপাঠিদের মধ্য হতে অংশ নেন-নুরুল আবছার, আজিজুল হক, আরিফ শাকিল, মামুনর রশিদ, সাদ্দাম হোসেন, তাহের মোর্শেদ, আসিফ রানা, দিদারুল আলম, আবু বক্কর, মো. আহমদুল্লাহ, মোহাম্মদ কাশেম, মীর মোর্শেদ প্রমূখ।

উল্লেখ্য, রামুর গর্জনিয়ার স¤্রান্ত মুসলিম পরিবারের জমিদার বাড়িতে, তরুণ সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৯৫ সনের ১৮ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভর্সিটিতে আইন বিভাগে পড়াশোনার পাশাপাশি হাফিজ দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি ও আজকের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর দাদা বৃহত্তর গর্জনিয়ার প্রয়াত চেয়ারম্যান ইসলাম মিয়া চৌধুরী, নানা বিশিষ্ট জমিদার প্রয়াত আলহাজ্ব নাজের চৌধুরী, আমেরিকা প্রবাসি বড় মামা সাইফুল্লাহ চৌধুরী লেবু ও প্রয়াত একমাত্র বড় ভাই তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সুখ্যাতি রয়েছে প্রত্যন্ত জনপদে। বাবা শিক্ষানুরাগী হাবিবুল্লাহ চৌধুরী ও মা সাবেক ইউপি সদস্য আয়েশা খানম চৌধুরী এখন সমাজ জীবনে নানা অবদান রেখে চলেছেন।